অনলাইন ডেস্ক | ০৫ ডিসেম্বর ২০২০ | ৮:১৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর জেলার মদন থানায় বাড়ি মোবারক মিয়া ও আজিজ মিয়ার। এক সময় তাদের ছিল পাকাবাড়ি, গরু, ফসলি জমি ও সাজানো সংসার। মেঘনার ভাঙন ফসলি জমির সাথে কেড়ে নিয়েছে বাসতভিটাও। এ বছর ৬ হাজার মত মানুষ নদী ভাঙনে গৃহহীন হওয়ায় জায়গা মিলছে না চাঁদপুর অঞ্চলের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে। সরকারি সহায়তায় মাথা ঠাঁই পেয়েছেন জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ নদী ভাঙান প্রকল্পে। তাদের মত আরো আট পরিবারের ৪০ জনকে সাথে নিয়ে রওনা দেন জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার উদ্দেশ্যে।
নদীগর্ভে সর্বস্ব হারিয়ে সেখানে পৌঁছানোও তাদের জন্য হিমালয় সমান বাঁধা। তিনদিনের অনাহারে থেকে গতরাতে ফুলপুর উপজেলায় পৌঁছায় মোবারক মিয়া আজিজ মিয়াসহ ৪০ জনের এ দলটি। পিছনে রয়ে যাওয়া অন্যদের জন্য ফুলপুরে তাদের অপেক্ষা।
মানুষের দেওয়া চিড়া মুড়ি খেয়ে রাত পার করছেন তারা এমন সংবাদ পেয়ে সরকারি কাজে ময়মনসিংহে থাকায় নিজ অফিসের স্টাফ ও যুব রেড ক্রিসেন্ট ফুলপুর এর স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে তাদের জন্য পাঁচদিনের খাবার ও শীতের কম্বল পাঠান উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার।
ভূক্তভোগীরা বলেন, ‘এক সময় আমরা মানুষ কে দান করতাম, এখন নিজেরা না খেয়ে থাকি, মাইনসের কাছে চাইতে। সরম লাগে। ইউএনও স্যার ও স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে এ সাহায্য পেয়ে আমরা খুব খুশি। অন্তত না খেয়ে পথ চলন লাগতো না।’
ফুলপুর যুব রেড ক্রিসেন্টের প্রধান তাসফিক হক নাফিও বলেন, ইউএনও স্যারের মাধ্যমে এমন অসহায় মানুষের সাহায্য করতে পরে স্বেচ্ছাসেবক দিবসে স্বেচ্ছাসেবকরাও আত্মতৃপ্তি পেলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, তারা যে কয়েকদিন ফুলপুর থাকবেন তাদের সকল ধরনের সহায়তা দিবে উপজেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ৮:১৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২০
shikkhasangbad24.com | hossain reaz
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |