• বুধবার ৩১শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

    শিরোনাম

    হিন্দু ছেলের বিয়ের প্রস্তাবে না, পুড়িয়ে মারল মুসলিম তরুণীকে!

    অনলাইন ডেস্ক | ১৯ নভেম্বর ২০২০ | ৬:০১ অপরাহ্ণ

    হিন্দু ছেলের বিয়ের প্রস্তাবে না, পুড়িয়ে মারল মুসলিম তরুণীকে!

    ভারতের বিহার রাজ্যে হিন্দু এক যুবককে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় এক মুসলিম তরুণীকে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর মেয়েটির আর্তচিৎকার শুনে তার আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসী এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এর ১৭ দিন পর রবিবার মেয়েটি মারা যান। মারা যাওয়ার আগে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মেয়েটি এক ভিডিও জবানবন্দিতে সতিশ ও তার দুই সহযোগীর নাম বলেন। ভিডিওটি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তা ভারতে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে এবং অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি ওঠে। কিন্তু এখানো তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি বিহার পুলিশ।

    পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাকে পুড়িয়ে দেওয়ার পেছনে যে কারণটি ছিল সেটি হলো হিন্দু ওই তরুণকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানো। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, গুলনাজ খাতুনের বিয়ে ঠিক হয় ছিল অন্য একটি ছেলের সঙ্গে। চার মাস পর ওই ছেলেকে বিয়ে করার কথা ছিল গুলনাজের।

    আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর বিহারের রসুলপুরের হাবিব গ্রামে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করেন গুলনাজ খাতুন নামের ওই তরুণী। দীর্ঘদিন ধরে ওই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল অভিযুক্ত সতীশ। কিন্তু প্রত্যাখাত ও অপমানিত হয়ে প্রতিশোধ নিতে সে তার বাবা চন্দন রায় ও চাচাতো ভাই চন্দন রায়ের সাহায্যে গুলনাজের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে ও আগুন ধরিয়ে দিয়ে তাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে।

    এই ঘটনায় মেয়েটির আর্তচিৎকার শুনে তার আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী এসে উদ্ধার করে পাটনা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে। মেয়েটির শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তরুণীর চিকিৎসা চলে ওই হাসপাতালেই। কিন্তু তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যায়নি। গত রবিবার মারা যান ওই তরুণী।

    নিহত ওই তরুণীর মা জানান, তার মেয়ের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ৩০ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে। এর একদিন আগে তাকে (নিহত তরুণীর মা) হুমকি দেয় সতীশ।

    বৈশালি জেলা পুলিশ সুপার ডা. গৌরব মঙ্গলা বলেছেন, আসামিরা পলিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য তিনটি পুলিশ দল গঠন করা হয়েছে। আসামিরা যদি আত্মসমর্পণ না করে তবে পুলিশ তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য কার্যক্রম শুরু করবে।

    বিহারের এই ঘটনাটি ব্যাপক সামালোচনার জন্ম দিয়েছে ভারতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশট্যাগ দিয়ে গুলনাজ হত্যার বিচার চাওয়া হচ্ছে। ‘#জাস্টিসফোরগুলনাজ’ হ্যাশট্যাগটি এখনো মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মে ট্রেন্ডিং।

    এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন কঙ্গনা। তিনি টুইটার হ্যান্ডলে লেখেন, আমাদের মেয়েরা নিরাপদ নয়। একসঙ্গে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানান তিনি। ঘটনায় ন্যায় বিচার চেয়েছেন উর্মিলা মাথান্ডকারও।

    সূত্র: এবিএনএ২৪, এএ।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ৬:০১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০

    shikkhasangbad24.com |

    advertisement

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    advertisement
    শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
     
    ১০১১১২
    ১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
    ২০২১২২২৩২৪২৫২৬
    ২৭২৮২৯৩০৩১ 
    advertisement

    সম্পাদক ও প্রকাশক : জাকির হোসেন রিয়াজ

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি# ১, রোড# ৫, সেক্টর# ৬, উত্তরা, ঢাকা

    ©- 2023 shikkhasangbad24.com all right reserved