অনলাইন ডেস্ক | ০৪ নভেম্বর ২০২০ | ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেই আবিদ হোসেন বাবুর মরদেহ বাড়ির পেছনে গাছে ঝুলিয়ে রাখে স্ত্রী ছাবিনা ও তার বাবার বাড়ির লোকজন।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বন্দকাটি গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে ঘরজামাই থাকা আবিদ হোসেন বাবু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তার স্ত্রী ছাবিনা বুধবার (৪ নভেম্বর) জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহারের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তার জবানবন্দির বরাত দিয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কালিগঞ্জ উপজেলার নীলকন্ঠপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আবিদ হোসেন বাবু একই উপজেলার বন্দকাঠি গ্রামস্থ মৃত আরশাদ আলী মোড়লের মেয়ে ছাবিনা খাতুনের সাথে প্রেম করে ৮-১০ মাস আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে আবিদ হোসেন বাবু শ্বশুরবাড়িতে ঘর-জামাই হিসেবে বসবাস করতেন। সে বেকার জীবন-যাপন করতো। সংসারে কোনো কাজ-কর্ম করতো না এবং ছাবিনার ভাই পুলিশ সদস্য আরিফের (মাগুরা জেলা পুলিশে কর্মরত) সংসারে থাকতেন।
এ সমস্ত পারিবারিক কারণে শ্বশুরালয়ের লোকজনের সাথে তার সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। ঘটনার রাতে (২ নভেম্বর দিবাগত রাত) স্বামী-স্ত্রী তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া করে। ঝগড়া করে আবিদ হোসেন বাবু ঘর থেকে বাইরে গিয়ে ছাবিনার ভাই আরিফ হোসেনের কাছে তার বোনের বিরুদ্ধে নালিশ করে।
এই ঝগড়া নিয়ে পারিবারিক নানা রকম সমস্যার জের ধরে ছাবিনা ও তার ভাই-বোনসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন মিলে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে এবং ফাঁস লাগিয়ে বাড়ির পেছনে একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখে। যাতে সাধারণ মানুষ মনে করে সে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ জানায়, আবিদ হোসেন বাবু হত্যার ঘটনায় তার মা হোসনে আরা বেগম বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
ঘটনার রহস্য উদঘটনের জন্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে জেলা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সাথে জড়িত এজাহারনামীয় প্রধান আসামি ছাবিনা খাতুনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
পরে আসামি ছাবিনা খাতুনকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) আসাদুজ্জামান, দেবহাটা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শেখ ইয়াসিন আলী, কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দেলাওয়ার হোসেনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ছাবিনা খাতুন তার স্বামী (দ্বিতীয় স্বামী) আবিদ হোসেন বাবুকে হত্যার ঘটনার দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে এবং ঘটনা বর্ণনা করে।
আসামিকে পুলিশ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য আদালতে হাজির করলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
পুলিশ আরও জানায়, এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে। কালিগঞ্জ থানার এস আই জিয়ারত হোসেন মামলাটি তদন্ত করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৪ নভেম্বর ২০২০
shikkhasangbad24.com | hossain reaz
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |