অনলাইন ডেস্ক | ০৩ জুলাই ২০২০ | ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে বন্যার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনো যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে ২১৬ গ্রামের প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ। বন্যার কারণে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেকে শহর রক্ষাবাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নিয়েছে। জেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাজীপুর উপজেলা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বন্যায় সিরাজগঞ্জে পাঁচ উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নের ২১৬টি গ্রামের এক লাখ ৫৯ হাজার ১৫৩ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩০টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ এবং পাঁচটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার কাজীপুর উপজেলায় তিন হাজার ৫৫০ হেক্টর এবং চৌহালী উপজেলায় ১৫ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ২২০টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১০৬০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬৮৪ পরিবার ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে এখনও বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টি মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে চরাঞ্চলের ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ‘বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে ১২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘জেলার কাজীপুর ও চৌহালী উপজেলায় ৩৫৬৫ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি না কমলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে।’
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ জুলাই ২০২০
shikkhasangbad24.com | hossain reaz
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |