• সোমবার ২৭শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১৩ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

    শিরোনাম

    সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছিল, তুমি পালিয়ে চলে যাও: এসআই আকবর

    অনলাইন ডেস্ক | ০৯ নভেম্বর ২০২০ | ৭:১০ অপরাহ্ণ

    সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছিল, তুমি পালিয়ে চলে যাও: এসআই আকবর

    সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে ‘নির্যাতনে’ রায়হান আহমদ নিহতের প্রায় এক মাস পর এই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত বহিষ্কৃত এসআই আকবর হোসেন কানাইঘাটের ডনা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    এর আগে ওই ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ আকবর হোসেন স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পড়েন। স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পরার সময়ে তার একটি ভিডিও করা হয়। ভিডিওতে আকবর কান্নার সুরে বলছিলেন রায়হানের মৃত্যুর পর তাকে একজন সিনিয়র অফিসার পালিয়ে যেতে বলেছিলেন। তাই তিনি পালিয়েছেন

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায় অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন।

    ভাইরাল হওয়ায় ভিডিওতে আকবর’কে বলতে শোনা যায়, আমি একা মারিনি। পাঁচ ছয়জন মারছিল। এজন্যে মরে গেছে। তুমি কেন পালিয়ে গেলে স্থানীয়দের এমন প্রশ্নের জবাবে বহিস্কৃত এসআই আকবর ভুঁইয়া বলেন, সাসপেন্ড করছে এরেস্ট হতে পারি। আরও বলেন, আমাকে সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছিল, তুমি পালিয়ে চলে যাও, কয়েক মাস পরে আইসো।
    দুই মাস পরে সব ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে আবার সব হ্যান্ডেল করা যাবে। তবে কারা এমনটি বলেছিলেন বা কার নির্দেশে তিনি পালিয়ে যান এ সম্পর্কে কিছু বলেননি। এসময় ভিডিওতে দেখা যায় আকবরের হাত পা বাঁধতে বাঁধতে যুবকরা বলছেন- মাত্র ১০ হাজার টাকার জন্য সে মানুষকে মেরে ফেলেছে।

    ওই যুবগুলো বাংলায় কথা বললেও তাদের কণ্ঠস্বর ছিলো অবাঙালিদের মতো। ভিডিও দেখে কানাইঘাটের স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন, ভিডিও’র যুবকদের কথাবার্তা ও এলাকার দেখে বুঝা গেছে তারা ভারতের খাসিয়া আদিবাসী হতে পারেন।

    এদিকে সিলেটের এএসপি আব্দুল করিম জানিয়েছেন, ভারতে পালানোর সময় কানাইঘাটের লক্ষ্মীপ্রসাদ সীমান্ত এলাকা থেকে আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিকেল ৫টায় তাকে নিয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এরআগে অবশ্য গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানিয়েছিলো আকবর ভারতের মেঘালয় রাজ্যে পালিয়ে গেছেন।

    উল্লেখ্য গত ১০ অক্টোবর শনিবার মধ্যরাতে রায়হানকে নগরীর কাষ্টঘর থেকে ধরে আনে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। পরদিন ১১ অক্টোবর ভোরে ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হানের পরিবারের অভিযোগ ফাঁড়িতে ধরে এনে রাতভর নির্যাতনের ফলে রায়হান মারা যান। ১১ অক্টোবর রাতেই রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ৭:১০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৯ নভেম্বর ২০২০

    shikkhasangbad24.com |

    advertisement

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    advertisement
    শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
     
    ১০
    ১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
    ১৮১৯২০২১২২২৩২৪
    ২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
    advertisement

    সম্পাদক ও প্রকাশক : জাকির হোসেন রিয়াজ

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি# ১, রোড# ৫, সেক্টর# ৬, উত্তরা, ঢাকা

    ©- 2023 shikkhasangbad24.com all right reserved