অনলাইন ডেস্ক | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১২:২৪ অপরাহ্ণ
ছবিতে আলমাস শেখের নেতেৃত্বে একদল লাঠিয়াল বাহিনী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক বেপারীর সমর্থক লোকজনের উপর হামালার জন্য এগিয়া আসছে
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা ঢেউখালী ইউনিয়নে জমি-জমা সংক্রান্ত জের ধরে আলমাস শেখের নেতেৃত্বে একদল লাঠিয়াল বাহিনী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে গত বুধবার সকালে চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক বেপারীর সমর্থক লোকজনের উপর হামালা চালায়। হামলায় অন্ততঃ ১০ জন আহত হওয়া ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে গুরত্বর আহত ৩ জন সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এব্যাপারে সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ে করা হলে তা মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বেপারীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঢেউখালী ইউনিয়নের রাম সুন্দর ডাঙ্গী গ্রামের ৬৬নং চর বলাশিয়া মৌজার ৭৩ শতাংশ জমির মধ্যে সাড়ে ৩৩ শতাংশ জমি দলিল মূলে আমি ক্রয় করি। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ জমি আমাকে বাউন্ডারি দেয়াল করে শেখ সাদি ও শেখ হায়দার বুঝাইয়া দেয়। ৭৩ শতাংশ জমির মধ্যে ১৫ শতাংশ জমি আমি জোর পূর্বক দখল করে আছি বলে প্রসাশনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে। সস্প্রতি মান্নান শেখ ও আলমাস শেখ আমার আরো সাড়ে ১৮ শতাংশ জমি বুঝাইয়া দিতে বললে সে জমি বুঝিয়ে না দিয়ে কিছু পত্রিকায় আমার সম্পর্কে প্রতিবেদককে ভূল তথ্য দিয়ে এবং প্রতিবেদক আমার বক্তব্য না নিয়ে ভূল সংবাদ প্রকাশ করে।
সংবাদে প্রকাশ করে যে, আমি হুমকি ধামকি দিয়ে জমি দখল, নিজস্ব বাহিনী দিয়ে নির্যাতন, মিথ্যা মামলার ভয়ভীতিসহ নানা অভিযোগের বিষয়টি তুলে ধরে। এছাড়াও উল্লেখ করা হয় যে, এলাকায় নিজস্ব বাহিনী দিয়ে আমি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছি।কিছু কুচক্রী মহল আগামী ইউপি নির্বাচনে আমার এলাকায় জনপ্রিয়তা দেখে আমার ভাব মুর্তি খুন্য করার জন্য বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে। এতে আমার মান-সম্মান খুন্য হয়।
তিনি বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে আমি এমপি নিক্সন চৌধুরী সমর্থন নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়া পর থেকে কাজী জাফরউল্লার সমর্থক শিশু খাঁ তার ছোট ভাই আলিম খাঁ হত্যায় আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। অথচ তারা নিজেরাই তার ভাইকে হত্যা করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে এবং চেয়ারম্যানের দায়িত্ব যাতে না নিতে পারি সেই পায়তারা করে। তদন্ত শেষে দেখা যায় নিজেরাই ফেঁসে যায়।
আলমাস শেখের আপন চাচা শেখ ফরিদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার ভাই শেখ মান্নান ও আপন ভাতিজা শেখ আলমাস চেয়ারম্যানের সাথে যে জমি জমা সংক্রান্ত নিয়ে নানা দপ্তরে অভিযোগ করে আসছে সে জমি আমার ভাতিজা শেখ সাদি, শেখ হায়দার প্রায় দেড় বছর পূর্বে চেয়াম্যানের নিকট দলিল মূলে বিক্রি করে এবং ভোগ দখল বুঝাইয়া দেয়। আমি ও আমার ভাই ভাতিজা মিলে আরো সাড়ে ১৮ শতাংশ জমি বিক্রি করি যা এখনো চেয়ারম্যানকে বুঝাইয়া না দিতে না পারায় আমার ভাতিজা বিভন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে হয়রানি করে আসছে।
জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূরবী গোলদার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ইউপি চেয়ারম্যন ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে জমি দখলের লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন মান্নান শেখ ও তার ভাইয়েরা। আমি দুই পক্ষকে ডেকে এনে ছিলাম। তখন চেয়ারম্যান বলেছিল ওই জমি তিনি কিনেছেন। আর মান্নান শেখ বলেন আমার শরিকরা যে জমি বিক্রি করেছে সেই জমিতো তাদের না। তাহলে তারা বিক্রি করে কিভাবে। ওই সময় দুই পক্ষকেই শান্ত থাকার জন্য বলা হয়। এব্যাপারে সদরপুর থানায়ও একটি অভিযোগ দায়ের করে।
সদরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফর রহমান বলেন, জমির বিষয়টি আমাকে অবগত করা হলে আমি প্রথম বার দুই পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলি। চেয়ারম্যান কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসে। এবং শেখ মান্নান গং উপস্থিত হননি। পুনোরায় দুই পক্ষকেই জমির কাগজপত্র নিয়ে আসতে বললে চেয়ারম্যান তার কাগজ পত্র নিয়ে উপস্থিত হলেও মান্নান শেখ উপস্থিত হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
shikkhasangbad24.com | hossain reaz
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |