অনলাইন ডেস্ক | ০৯ নভেম্বর ২০২০ | ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শত প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে সবাইকে নিয়েই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সোনার বাংলা গড়ে তোলা তাঁর লক্ষ্য। আজ সোমবার সন্ধ্যায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
সংসদে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ বাজানোর মধ্য দিয়ে আজ ঐতিহাসিক বিশেষ অধিবেশনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
স্মারক বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির আলোকবর্তিকা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, যত দিন বাংলাদেশ থাকবে তত দিন বঙ্গবন্ধু সবার অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
সাম্প্রতিক ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর ভূমিকা রাখার তাগিদ দেন। কথা বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়েও।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক এবং কর্মময় জীবন ও দর্শনের ওপর জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার প্রস্তাব করেন। তুলে ধরেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে তাঁর স্বপ্নের কথা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই বাংলাদেশটাকে গড়ে তুলতে চাই। দুর্ভাগ্য আমাদের পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট যদি না ঘটত তাহলে বহু আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হতো। এক সময় ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নামও মুছে ফেলা হয়েছিল। এত কষ্ট করে যিনি স্বাধীনতা এনে দিলেন, সেই স্বাধীন দেশটা যখন তিনি গড়ে তুলছিলেন, তখনই তাঁকে হত্যা করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, একটি দেশ, একটি জাতিকে আত্মপরিচয় দেওয়া এটি একটি কঠিন কাজ। বঙ্গবন্ধু সেটা করেছেন। আর এটা করতে গিয়ে তাঁকে অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। পাকিস্তান সৃষ্টির পেছনে পাকিস্তানিদের যে কী অবদান ছিল জানি না। তবে পূর্ববঙ্গের মানুষের বড় অবদান ছিল। কিন্তু সেই পাকিস্তান সৃষ্টির পর পূর্ববঙ্গের মানুষের ওপরই নির্যাতন নেমে আসে। বঙ্গবন্ধু তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন। জাতির পিতা সব সময় মানুষের জন্য চিন্তা করতেন। পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার সাত-আট মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে তিনবার গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি অল্প সময়ের মধ্যে ছয় দফা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছয় দফার সমর্থনে যেখানেই বক্তব্য দিতে গেছেন, সেখানেই তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আরো বলেন, পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধুকে এত নির্যাতন করা হতো, সেটা তিনি আমাদের বলেননি। আমার ছোট বোন রেহানা প্রায়ই জিজ্ঞাসা করত, তিনি বলতেন, তুই সহ্য করতে পারবি না, জানার দরকার নেই। বঙ্গবন্ধুকে শুধু রাষ্ট্রপতি হিসেবে হত্যা করা হয়নি, পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করা হয়। আমার ছোট ভাইটিও রেহাই পায়নি। আমরা বিদেশে ছিলাম, তাই বেঁচে গিয়েছিলাম।
তা ছাড়া বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনায় অংশ নেন সংসদ সদস্যরাও।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৯ নভেম্বর ২০২০
shikkhasangbad24.com | hossain reaz
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ |
১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
২৯ | ৩০ |