• শুক্রবার ২৪শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১০ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

    শিরোনাম

    ম্যারাডোনা সম্পর্কে জানা-অজানা ২০ তথ্য

    অনলাইন ডেস্ক | ২৬ নভেম্বর ২০২০ | ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ

    ম্যারাডোনা সম্পর্কে জানা-অজানা ২০ তথ্য

    হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনা। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী এ কিংবদন্তি। মৃত্যুকালে ম্যারাডোনার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।

    তাঁর মৃত্যুতে ফুটবল ইতিহাসের রোমাঞ্চকর এক অধ্যায়েরও সমাপ্তি ঘটেছে । রয়ে গেছে অনেক স্মৃতি। স্মৃতির পাতা থেকেই তার বর্ণাঢ্য জীবনের কিছু তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হল:

    ১) ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবরে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আইরেসের উপকণ্ঠে ম্যারাডোনার জন্ম।

    ২) আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে ১৯৭৬ সালের ২০ অক্টোবর মাত্র ১৫ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক তাঁর।

    ৩) জাতীয় দল আর্জেন্টিনার হয়ে ৯১ ম্যাচ খেলেছেন, করেছেন ৩৪ গোল।

    ৪) দেশের হয়ে চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন ম্যারাডোনা।

    ৫)বিশ্বকাপে কোনো দলের অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ম্যারাডোনার। ১৬টি ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।

    ৬) বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মোট ২১টি ম্যাচ খেলেন।

    ৭) জাপানে হওয়া ১৯৭৯ সালের যুব বিশ্বকাপে বাজিমাত করা আর্জেন্টিনা দলে ছিলেন ম্যারাডোনা।

    ৮) বুয়েন্স আইরেসের বোমবোনেরা স্টেডিয়ামে ১৯৭৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি হাঙ্গেরির বিপক্ষে ১৬ বছর বয়সে আর্জেন্টিনার জার্সিতে অভিষেক।

    ৯) বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে ফাউলের শিকার হওয়ার রেকর্ড ম্যারাডোনার। ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে মোট ৫৩ বার তাকে ফাউলের করা হয়েছিলেন।

    ১০) বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশিবার ফাউলের শিকার হওয়ার রেকর্ডও তার। ১৯৮২ বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে ম্যাচে ২৩ বার ফাউলের শিকার হন তিনি।

    ১১) ম্যারাডোনার অধিনায়কত্বে পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয় করে আর্জেন্টিনা।

    ১২) ওই আসরে ম্যারাডোনা তার অসামান্য পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে জেতেন গোল্ডেন বল।

    ১৩)১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে হাত দিয়ে গোল করেন ম্যারাডোনা। ‘হ্যান্ড অব গড’ নামে যে গোলটি এক নামে পরিচিতি। ওই গোল নিয়ে পরে তিনি বলেছিলেন, “ওই গোলটি কিছুটা ঈশ্বরের হাত এবং কিছুটা ম্যারাডোনার মাথা থেকে হয়েছিল।”

    ১৪) বুয়েন্স আইরেসে ১৯৮৯ সালের ৭ নভেম্বর ক্লাওদিও ভিয়াফানকে বিয়ে করেন ম্যারাডোনা।২০০৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।

    ১৫)২০০৮ সালের অক্টোবরে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেন।

    ১৬) ম্যারাডোনার বাহুতে আছে চে গেভারা এবং বাঁ পায়ে আছে ফিদেল কাস্ত্রোর ট্যাটু।

    ১৭)আর্জেন্টিনোর জুনিয়র্স নিজেদের স্টেডিয়ামের নাম দিয়েছে ইস্তাদিও দিয়েগো আর্মান্দো ম্যারাডোনা।

    ১৮) হ্যান্ড অব গড-গোলের চার মিনিট পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চোখ ধাঁধানো সেই দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন ম্যারাডোনা। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সেই কোয়ার্টার-ফাইনালে দুর্দান্ত ড্রিবলিংয়ে ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডারদের ছিটকে দিয়ে পিটার শিলটনকে পরাস্ত করে স্কোরলাইন ২-০ করেছিলেন। ফিফা এ গোলটিকেই ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’র মুকুট পরিয়ে দেয়।

    ১৯) ম্যারাডোনা ফুটবল ইতিহাসের একমাত্র খেলোয়াড় যিনি ট্রান্সফার ফির রেকর্ড দুইবার ভেঙেছেন।

    ২০) ম্যারাডোনা এবং মেসিই কেবল ফিফা বিশ্বকাপ ও ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জিতেছেন।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

    shikkhasangbad24.com |

    advertisement

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    advertisement
    শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
     
    ১০
    ১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
    ১৮১৯২০২১২২২৩২৪
    ২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
    advertisement

    সম্পাদক ও প্রকাশক : জাকির হোসেন রিয়াজ

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি# ১, রোড# ৫, সেক্টর# ৬, উত্তরা, ঢাকা

    ©- 2023 shikkhasangbad24.com all right reserved