অনলাইন ডেস্ক | ২৭ নভেম্বর ২০২০ | ৯:২৭ পূর্বাহ্ণ
রিয়াজ মিয়া। ১১ বছরের কিশোর। এই বয়সে পিতা-মাতার আদরে লালন হওয়ার কথা তার। কিন্তু মায়ের পেটে থাকার সময়ই তার পিতা মিজান মিয়া মাকে ছেড়ে চলে যায়। মা রেজিয়া বেগম বাসায় বাসায় কাজ করে রিয়াজ মিয়াকে লালন পালন করে। কিন্তু ২/৩ মাস যাবৎ মা রেজিয়া বেগম অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়লে রিয়াজ মিয়া নিরুপায় হয়ে যায়।
মাদরাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখা করলেও মায়ের মুখে অন্ন দিতে প্রথমে ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে নেমে যায় রাস্তায়। এখন সে মাস্ক বিক্রি করে মায়ের অন্ন যোগাচ্ছে। মা অসুস্থ হওয়ায় তাকে নিজেই উপার্জন করতে হয়। আবার নিজে গিয়েই রান্না করে মাকে খাওয়াতে হয় রিয়াজ মিয়ার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে একটি মাস্কের বাক্স এবং একটি ব্যাগ নিয়ে মাস্ক বিক্রি করছিল রিয়াজ মিয়া। এ সময় রিয়াজ মিয়া জানায়, দুপুরের মাঝে মাস্ক বিক্রি করে যে টাকা পাবে তা দিয়ে সে বাজার ঘরে বাসায় গিয়ে রান্না করে মায়ের মুখে ভাত দেবে। অনেক তাড়া তার। পকেটে ১ শ টাকা হলেই সে চলে যাবে।
রিয়াজ মিয়ার পরনে ছিল ময়লা কাপড়। পায়ে ছেঁড়া স্যান্ডেল। তাকে দেখে মায়া হওয়ায় অনেকেই বেশি দামে মাস্ক কিনছিলেন তার কাছ থেকে।
রিয়াজ মিয়া জানায়, তার গ্রামের বাড়ী সদর উপজেলার শরীফপুর গ্রামে। হবিগঞ্জ শহরের নোয়াবাদ এলাকার কুদ্দুছ মিয়ার বাসায় একটি রুম ১ হাজার টাকা মাসে ভাড়া নিয়ে তার মা রেজিয়া বেগম ও সে বসবাস করে। মা অসুস্থ হওয়ার পূর্বে বাসায় বাসায় কাজ করে যে টাকা পেতেন তা দিয়ে ঘর ভাড়া ও তার পড়ালেখার খরচ হতো। কিন্ত মা অসুস্থ হলে সে ভিক্ষা করে বাসা ভাড়া ও লেখাপড়ার খরচ যোগায়। তার ভিক্ষার টাকা দিয়ে বাজার করে বাসায় এসে নিজ হাতে রান্না করে।
লেখাপড়াও করে সুযোগ পেলে। সে শহরের উমেদনগর মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। টাকার অভাবে তার মায়ের চিকিৎসা করাতে পারে না। ভিক্ষা করার চেয়ে মাস্ক বিক্রি করা ভালো মনে করে এখন সে মাস্ক বিক্রি করছে। অনেকেই তাকে বেশি টাকা দেয়। আবার অনেকদিন টাকা কম পেলে না খেয়েই থাকতে হয় মা-ছেলেকে। এ ব্যাপারে সে সরকারের সহযোগিতা কামনা করে।
বাংলাদেশ সময়: ৯:২৭ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০
shikkhasangbad24.com | hossain reaz
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |