• শুক্রবার ২৪শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১০ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

    শিরোনাম

    মাদারীপুরে দুই হাসপাতালের দুই রকম রিপোর্টে বিপাকে পড়েছে একটি পরিবার

    অনলাইন ডেস্ক | ১০ নভেম্বর ২০২০ | ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ

    মাদারীপুরে দুই হাসপাতালের দুই রকম রিপোর্টে বিপাকে পড়েছে একটি পরিবার

    মাদারীপুরে শহরের দুই হাসপাতালে দুই দিনের ব্যবধানে দুই রকম রিপোর্ট প্রদান করায় বিপাকে পড়েছে একটি পরিবার। এই ঘটনায় মাদারীপুর শহরের সেতারা জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালের বিরুদ্ধে মিথ্যা গর্ভপাতের রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী মাসুদ আকন প্রতিকার ও বিচার চেয়ে গত ২৯অক্টোবর মাদারীপুর সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

    লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার হাজরাপুর গ্রামের শিল্পী বেগম নামে এক নারীকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর মাদারীপুর শহরের বাবু চৌধুরী জেলারেল হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাম ও প্রেগনেন্সি টেস্টে গর্ভবতী নয় বলে উল্লেখ করে। এছাড়াও গত ১২ জুলাই শিল্পী বেগম গর্ভবতী না হওয়ার জন্য ইনজেকশন গ্রহন করেন।

    কিন্তু মাদারীপুর শহরের সেতারা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক এনামুল হক গত ৩০ সেপ্টেম্বর শিল্পী বেগমকে গর্ভবতী উল্লেখ করে আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট প্রদান করে। এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই শিল্পী বেগম গর্ভবতী ছিলেন এবং তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলা হয়েছে উল্লেখ করে মাদারীপুর কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে।

    মাদারীপুর সদর উপজেলার হাজরাপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ আকন বলেন, শিল্পী বেগমের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হয়। এই ঝগড়ার কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলায় দাবী করেছে সে গর্ভবতী ছিলেন। অথচ দুই দিনে ব্যবধানে দুই হাসপাতালে দুই রকম রিপোর্ট দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, সেতারা হাসপাতালের চিকিৎসক এনামুল হক মোটা অংকের টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট প্রদান করেছেন। আমরা গরীব মানুষ। এই মিথ্যা রিপোর্টের কারনে আমার পরিবারের সবাই মামলা মোকাদ্দমার ভোগান্তিতে পড়েছি। আমরা এই চিকিৎসকের বিচার চাই।

    এব্যাপারে মাদারীপুরের সেতারা জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরু চৌধুরী বলেন, দুই হাসপাতালের রিপোর্ট দুই রকম কেন সেটা চিকিৎসক ভালো বলতে পারবেন। আমার জানা নেই। তবে অভিযুক্ত এই চিকিৎসকরে সাথে যোগাযোগ করতে একাধিক দিন হাসপাতালে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমন কি তার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরে তিনি রহস্যজনক কারনে সেতারা হাসপাতালে আসেননি।

    এব্যাপারে মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সফিকুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০

    shikkhasangbad24.com |

    advertisement

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    advertisement
    শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
     
    ১০
    ১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
    ১৮১৯২০২১২২২৩২৪
    ২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
    advertisement

    সম্পাদক ও প্রকাশক : জাকির হোসেন রিয়াজ

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি# ১, রোড# ৫, সেক্টর# ৬, উত্তরা, ঢাকা

    ©- 2023 shikkhasangbad24.com all right reserved