অনলাইন ডেস্ক | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ২:৫৭ অপরাহ্ণ
মসজিদে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে দগ্ধ ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন ২৫ জন এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের পর আজ শনিবার সকালে তাঁদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে এক শিশুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন । ৭ বছরের ওই শিশুটির নাম জুয়েল বলে জানিয়েছেন তিনি। তার ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
গতকাল এশার ফরজ নামাজ শেষে মুসল্লিদের অনেকে যখন সুন্নত নামাজ পড়ছিলেন সে সময়েই হঠাৎ গ্যাসের আগুনের সঙ্গে একযোগে বিস্ফোরণ ঘটে মসজিদের ছয়টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র-এসিতে। এর আগে থেকেই মসজিদে গ্যাসের পাইপ থেকে ছিদ্র দিয়ে গ্যাস লিক করে আসার অভিযোগ ছিল। গন্ধ পাওয়া যেত গ্যাসের।
অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের পর মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়াহুড়ি করে অনেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে যায়। ততক্ষণে বেশির ভাগ মুসল্লি দগ্ধ হন।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আরেফিন জানান, ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৯ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর আগে স্থানীয় লোকজন বেশির ভাগ দগ্ধ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। দগ্ধদের অবস্থা এত খারাপ ছিল যে তাঁদের শরীরে হাত দেওয়া যাচ্ছিল না।
নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল হোসেন জানান, রাত ৯টা থেকে একের পর এক দগ্ধ মুসল্লি আসছিলেন। তাঁদের সবার নাম লিপিবদ্ধ করা হয়নি। যাঁরা এসেছেন তাঁদের শরীরের ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। তাঁদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, যে ২০ থেকে ২৫ জন এসেছিলেন, তাঁদের কয়েকজনের শরীরে ৯৯ ভাগ পর্যন্ত দগ্ধ হয়েছে।
মসজিদের মেঝের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পানি ছিটানোর কারণে গ্যাসের বুদ্বুদ্ বের হচ্ছিল। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, গ্যাসের লিকেজের কারণে সম্ভবত এই বিস্ফোরণ। মসজিদটির নিচ দিয়ে তিতাস গ্যাসের লাইন আছে। আর পুরো মসজিদটি থাই গ্লাসে বদ্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
পরে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশর অ্যান্ড মেইনট্যানেন্স) লে. ক. জিল্লুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মসজিদটি থাই গ্লাসে আবদ্ধ ছিল। নিচ দিয়ে যাওয়া গ্যাসের পাইপের লিকেজ থেকে গ্যাস জমছিল। এই কারণে সম্ভবত বিস্ফোরণ ঘটেছে। সম্ভাব্য অন্যান্য কারণও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি
বাংলাদেশ সময়: ২:৫৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
shikkhasangbad24.com | hossain reaz
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |