• বুধবার ২২শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ৮ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

    শিরোনাম

    মর্গে মৃত কিশোরীদের ধর্ষক মুন্নার বিচার চেয়ে কাঁদলেন বাবা!

    অনলাইন ডেস্ক | ২৩ নভেম্বর ২০২০ | ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

    মর্গে মৃত কিশোরীদের ধর্ষক মুন্নার বিচার চেয়ে কাঁদলেন বাবা!

    ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা মৃত নারীদের ধর্ষণকারী মুন্না ভক্তের বিচার চাইলেন তার বাবা দুলাল ভক্ত। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘মুন্না যে কাজ করেছে তা অন্যায় করেছে, আমি ওর সঠিক বিচার চাই।’ সে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌর এলাকার বাসিন্দা। এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে গ্রেপ্তার হয় ডোমের সহযোগী মুন্না।

    মুন্নার বাবা দুলাল ভক্ত গণমাধ্যমকে জানান, ‘মুন্না গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে ঢাকায় কাজে চলে যায়। এরপর আমার স্ত্রীর ভাই (মুন্নার মামা) যতন কুমার লালের সঙ্গে মর্গে ডোমের সহযোগী হয়ে প্রায় দেড়বছর ধরে তার বাসায় থেকে কাজ করতো। শুক্রবার স্থানীয় মানুষের মুখে শুনলাম, আমার ছেলে মুন্না ভক্ত যেখানে কাজ করত সেখানে নাকি নোংরা, নিকৃষ্ট একটা কাজ করছে।’

    সেই সাথে এলাকার অনেক লোকজন এটা নিয়ে নানারকম কথাবার্তা বলছে। তবে মুন্না যে কাজ করেছে তা অন্যায় আমি ওর সঠিক বিচার চাই। এ কথা বলে কেঁদে ফেলেন মুন্নার বাবা।

    স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন ভক্ত বলেন, ‘মুন্নার কথাবার্তা আচার আচরণ আগে থেকেই খুব খারাপ ছিলো, তবে সে মাঝে মধ্যে নেশা করতো বলে শুনতাম। পরে আমাদের এখান থেকে মুন্না ঢাকায় কাজের জন্য চলে যায়, যদি মুন্না এতো জঘন্য কাজ করে থাকে আমরা তার বিচার চাই।’

    গোয়ালন্দ পৌরসভার সুইপার কলোনির বাসিন্দা রাজেশ ভক্ত বলেন, নিজে মানুষ হয়েও যে মৃত মানুষের সাথে এ রকম কাজ করে সেকি মানুষ নাকি অন্যকিছু। আমি ওর সঠিক বিচার চাই। এমন বিচার হওয়া উচিত যে, পৃথিবীতে যে কোনে মানুষ আর এই জঘন্য কাজ না করতে পারে।

    উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে চলতি বছরের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন মৃত কিশোরীর মরদেহ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি।

    সিআইডি বলছে, গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে চলতি বছরের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন মৃত কিশোরীর লাশ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে তারা প্রমাণ পেয়েছে। এই কিশোরীদের বয়স ছিল ১১ থেকে ১৭ বছর। আত্মহত্যার পর তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছিল।

    এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় মুন্না ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জবানবন্দিতে অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের কথা স্বীকার করলেও সে কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত নয় বলে জানায়। মুন্না বলেছে, রাতে মর্গে সে একাই থাকত। নিরিবিলি পরিবেশ এবং কোনো লোকজন না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। তার ভাষায়, ‘মৃত মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক দোষের কিছু না।’ তবে সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুন্না যে অপরাধ করেছেন সেজন্য তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০

    shikkhasangbad24.com |

    advertisement

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    advertisement
    শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
     
    ১০
    ১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
    ১৮১৯২০২১২২২৩২৪
    ২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
    advertisement

    সম্পাদক ও প্রকাশক : জাকির হোসেন রিয়াজ

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি# ১, রোড# ৫, সেক্টর# ৬, উত্তরা, ঢাকা

    ©- 2023 shikkhasangbad24.com all right reserved