অনলাইন ডেস্ক | ০৫ নভেম্বর ২০২০ | ১০:২৭ অপরাহ্ণ
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ভ্যানচালক জালাল উদ্দিনের (৬০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই জনকে শনাক্তের পর গ্রেফতার করা হলে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য বেরিয়ে আসে। দুই আসামি জানিয়েছেন, ভ্যান ছিনতাইয়ের জন্যই জালালকে হত্যা করা হয়।
দুই আসামি হলেন, উপজেলার আস্করপুর গ্রামের মৃত রোস্তম আলীর ছেলে মিনুরুল ইসলাম (৩০) এবং একই গ্রামের মৃত মকছেদ আলীর ছেলে মাসুদ রানা (৩২)।
বৃহস্পতিবার তারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পুলিশ এর রহস্য উদঘাটনের জন্য কাজ করে যাচ্ছিল। তদন্তের একপর্যায়ে মিনুরুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে। তাই গত মঙ্গলবার রাতে প্রথমে মিনারুলকে তার নিজ গ্রাম থেকে আটক করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাসুদ রানাকে বুধবার চারঘাটের সারদা বাজার থেকে আটক করা হয়। তারা দুজনই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন।
তাই বৃহস্পতিবার তাদের হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। তখন তারা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
আসামিরা আদালতে জানিয়েছেন, মূলত জালাল উদ্দিনের ভ্যান ছিনতাই করার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়। তারা গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে সারদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বসে একটি ভ্যান ছিনতাই করার পরিকল্পনা করেন। সে মোতাবেক তারা দুইজনে সেদিন সন্ধ্যায় চারঘাটের চৌরাস্তার মোড় থেকে ঝিকড়া যাওয়ার কথা বলে জালাল উদ্দিনের ইঞ্জিনচালিত ভ্যান ভাড়া করেন। পথে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে নির্জন জায়গায় পৌঁছে মাসুদ রানা ভ্যানচালক জালাল উদ্দিনের গলার ডান পাশে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করেন। এ সময় জালাল উদ্দিন চিৎকার শুরু করলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম জানান, এ হত্যাকাণ্ডে মিনুরুল ও মাসুদ রানা ছাড়া আর কারও সম্পৃক্ততা নেই। দুই আসামিই গ্রেফতার হয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের রহস্যও উদঘাটন হয়েছে। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে।
উল্লেখ্য, মৃত জালাল উদ্দিন চারঘাটের মেরামতপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তার বাবার নাম মৃত জাদব আলী। গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর রাস্তার পাশে স্থানীয়রা তাকে গলাকাটা অবস্থায় পান। এরপর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার ছেলে আবদুল মানিক অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে চারঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০:২৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৫ নভেম্বর ২০২০
shikkhasangbad24.com | hossain reaz
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |