• রবিবার ২৬শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১২ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

    শিরোনাম

    ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার বাড়াবে নজরদারি

    অনলাইন ডেস্ক | ১৭ নভেম্বর ২০২০ | ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ

    ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার বাড়াবে নজরদারি

    ভোজ্য তেল আমদানিকারকদের তথ্য মতে, মিল গেটে তাঁরা দাম না বাড়ালেও বাজারে নিয়মিত দাম বাড়ছে। এর কারণ অনুসন্ধান করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আর সংশ্লিষ্ট তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে। গতকাল সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর উদ্দিনের সঙ্গে আমদানিকারকদের মতবিনিময়ের পর এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

    মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর দেশের ভোজ্য তেল আমদানিকারকরা ভোজ্য তেলের দাম না বাড়ানোর অঙ্গীকার করলেও খুচরা পর্যায়ে নিয়মিত তেলের দাম বাড়ছে। এ অবস্থায় দাম বাড়ার কারণ জানতে এই বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে দেশের ভোজ্য তেল আমদানিকারকরা, ভোক্তা অধিদপ্তর, ট্যারিফ কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    দেশের অন্যতম ভোজ্য তেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়লেও দেশে পর্যাপ্ত তেলের মজুদ আছে। ফলে এ সময় তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। এ ছাড়া সরকারকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুসারে নির্ধারিত মূল্যেই মিল গেট থেকে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে।’

    এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি, সরবরাহ ঘাটতিসহ নানা অজুহাতে অস্থির হয়ে উঠেছে ভোজ্য তেলের বাজার। মিল গেট, পাইকারি ও খুচরা বাজারে তেলের দাম বেড়ে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। করোনা মহামারির সময়ে মানুষের আয় কমে যাওয়ায় নিত্যপণ্য ভোজ্য তেলের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে ভোক্তাসাধারণ।

    ভোজ্য তেলের বাজারের এই পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে এস আলম গ্রুপের জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভোজ্য তেলের মূল্য নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গত ২২ অক্টোবর বৈঠকের পর আমদানিকারকরা তেলের দাম বাড়াননি। মিল গেট থেকে এখনো নির্ধারিত মূল্যে তেল বিক্রি হচ্ছে। আর ইচ্ছা করলেই আমদানিকারকরা বাজারে দাম বাড়াতে পারেন না। দাম বাড়াতে হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়।’

    বাণিজ্যসচিব ড. জাফর উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাজার ও আমদানিকারকদের তথ্যে গরমিল আছে। অভ্যন্তরীণ বাজার, আন্তর্জাতিক বাজার এবং মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে। আমরা জোর নজরদারি করছি।’

    রাজধানীর বাজারে গতকাল খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১০৩ থেকে ১০৫ টাকা লিটার। আর পাম সুপার অয়েল বিক্রি হয়েছে ৯৮ টাকা লিটার। মৌলভীবাজারে পাইকারিতে সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ৭৮০ টাকা মণ (৩৮ লিটার)। অর্থাৎ ৯৯ টাকা লিটার। পাম তেল বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ৩০০ টাকা মণ (৮৭ টাকা লিটার)।

    ট্যারিফ কমিশনের তথ্যে দেখা যায়, গত ৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল (ব্রাজিল) বিক্রি হয়েছে ৮৬১ ডলার প্রতি টন। পরদিন দাম ছিল ৮৫৪ ডলার। এর এক সপ্তাহ আগে ছিল ৮৪৮ ডলার। এক মাস আগে ছিল ৮৪৩ ডলার প্রতি টন। ৮ অক্টোবর পাম অয়েল ছিল ৮২৯ ডলার প্রতি টন, পরদিন দাম দাঁড়ায় টনপ্রতি ৮৩৫ ডলার।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০

    shikkhasangbad24.com |

    advertisement

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    advertisement
    শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
     
    ১০
    ১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
    ১৮১৯২০২১২২২৩২৪
    ২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
    advertisement

    সম্পাদক ও প্রকাশক : জাকির হোসেন রিয়াজ

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি# ১, রোড# ৫, সেক্টর# ৬, উত্তরা, ঢাকা

    ©- 2023 shikkhasangbad24.com all right reserved