• রবিবার ২রা এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১৯শে চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

    শিরোনাম

    ভুয়া নবাবের যত কীর্তি

    অনলাইন ডেস্ক | ০৮ নভেম্বর ২০২০ | ১২:২২ অপরাহ্ণ

    ভুয়া নবাবের যত কীর্তি

    আসল পরিচয় পাওয়া গেছে ভুয়া নবাব সেজে প্রতারণাকারী খাজা আলী হাসান আসকারীর। তার প্রকৃত নাম কামরুল ইসলাম হৃদয়। তিনি বিহারী বংশোদ্ভূত। নবাব এস্টেটের সম্পত্তি দখল করতেই সেজে ছিলেন ভুয়া নবাব। সে মোতাবেক ভুয়া জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট তৈরি করেছিলেন। সেই জন্মনিবন্ধনের ভিত্তিতে তৈরি করেন পাসপোর্ট। সেগুলো দিয়ে তৈরি করেন জাতীয় পরিচয়পত্র। তার যাবতীয় সম্পদ জব্দ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

    ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নবাব এস্টেটের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করেছিলেন আসকারী। পাশাপাশি প্রতারণার উদ্দেশ্যে ও পরিকল্পিতভাবে তিনি ভুয়া নবাব সেজেছিলেন। তার টার্গেট ছিল দেশের বিভিন্ন এলাকার মাদ্রাসার শিক্ষকরা। তার বিরুদ্ধে নিত্য নতুন প্রতারণার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ভুয়া নবাবের আত্মীয় স্বজনের সন্ধান মিলেছে। নিজেকে নওয়াব সলিমুল্লাহ খানের নাতি হিসেবে পরিচয় দিতেন। বলতেন তার বাবা নিউইয়র্কে থাকেন। তিনি নিজে নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। তার পিতা ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। দুবাইতে তাদের স্বর্ণের কারখানা এবং সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের মালিকানা আছে। ওই হাসপাতালে নার্স নিয়োগের কথা বলে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়েছেন।

    সূত্রটি বলছে, আসকারীর পিতার নাম আব্দুস সালাম। তিনি স্ত্রী নাইমা খাতুনসহ উত্তরায় থাকতেন। ২০০৫ সালে তার প্রথম স্ত্রী মারা যান। দ্বিতীয় বিয়ে করে আসকারীর পিতা বর্তমানে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের একটি বাসায় বাস করছেন। কর্মচারী হিসেবে তার সঙ্গে যারা কাজ করতেন, তারা আসকারীর আপন ভাই।

    কথিত এই নবাবের চাচাত ভাই তাজুল ইসলামের বক্তব্য মোতাবেক, তারা ও আসকারীর পরিবার আগে পুরনো ঢাকার ২১ নম্বর গৌরসুন্দর রায় লেনে যৌথ পরিবার হিসেবে বসবাস করত। আসকারীর পিতা অনেক আগেই সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন। প্রায় এক যুগ ধরে আসকারীদের সঙ্গে তাদের কোন যোগাযোগ নেই। আসকারীরা সাত ভাই। দুই বোন। আসকারীর বড়ভাই সাইফুল ইসলাম ও এক ছোটভাই মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন। আমিনুল ইসলাম নামে আরেক ভাই কামরাঙ্গীরচরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন। বাকি তিন ভাই আহাম্মদ আলী, রাজা ও রানা তার সঙ্গেই থাকেন।

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসকারীর সঙ্গে থাকা আহাম্মদ আলী আসকারীর ম্যানেজার। আহাম্মদ আলী নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ব্যক্তির ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রতারণার কাজে আসকারীকে সহায়তা করতেন। তার আরেক ভাই রাজা একই কাজ করতেন। অন্য ভাই রানা ছিল আসকারীর বডিগার্ড।

    প্রতারক আসকারীর প্রতারণার কাজে মোহাম্মদপুরের ঢাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পল্টনের মেডিনেট মেডিক্যাল সহায়তা করত। বিদেশে পাঠানোর নামে মেডিক্যাল রিপোর্ট তৈরি করে দিত প্রতিষ্ঠান দুইটির দুই জন। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আসকারী ২০১৬ সালে মামুন নামের এক ব্যক্তির স্ত্রী মেরিনা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর এফিডেভিট করে তার স্ত্রী মেরিনা খাতুনের নাম পরিবর্তন করে হেনা আসকারী বানিয়েছেন প্রতারক আসকারী।

    মেরিনার পিতা হাতেম আলী পুলিশকে জানিয়েছেন, আসকারীকে তারা সত্যিকারের নবাবের বংশধর হিসেবেই জানতেন। আসকারী, তার স্ত্রী মেরিনা ও এক শ্যালকের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গাতেও একটি প্রতারণা মামলা দায়ের হয়েছে।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১২:২২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২০

    shikkhasangbad24.com |

    advertisement

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    advertisement
    শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
    ১০১১১২১৩১৪
    ১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
    ২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
    ২৯৩০ 
    advertisement

    সম্পাদক ও প্রকাশক : জাকির হোসেন রিয়াজ

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি# ১, রোড# ৫, সেক্টর# ৬, উত্তরা, ঢাকা

    ©- 2023 shikkhasangbad24.com all right reserved