• শুক্রবার ২৪শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১০ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

    শিরোনাম

    ভারতীয় মিডিয়ায় ভাসানচর নিয়ে নেতিবাচক রিপোর্ট

    অনলাইন ডেস্ক | ১২ ডিসেম্বর ২০২০ | ৬:১৮ অপরাহ্ণ

    ভারতীয় মিডিয়ায় ভাসানচর নিয়ে নেতিবাচক রিপোর্ট

    নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য দৃষ্টিনন্দন বাসস্থান তৈরি করেছে বাংলাদেশের সরকার। সেখানে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা থাকার যাবতীয় সুব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে সাইক্লোন শেল্টারও। তারপরও ভারতের একটি গণমাধ্যম ভাসানচর নিয়ে নেতিবাচক রিপোর্ট তৈরি করেছে।
    ২৪ ঘণ্টার হিন্দি ভাষার নিউজটুয়েন্টিফোর নামের ওই টিভি চ্যানেল গত ৭ ডিসেম্বর ভাসানচর নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করে। সেখানে বিভিন্ন সিনেমার গ্রাফিক্স ব্যবহার করে ভাসানচর নিয়ে ব্যাপক নেতিবাচক ওই রিপোর্ট করা হয়।

    সেখানে বলা হয়, ঝড়, বৃষ্টিপাত ও বন্যায় এই ভাসানচর হাজার হাজার রোহিঙ্গার জন্য ‘কবরে’ পরিণত হতে পারে। ডাকাতদের হানা দেয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। টিভি চ্যানেলটির একজন রিপোর্টারকে বলতে শোনা যায়, ‘মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল এই রোহিঙ্গারা। এখন তাদের জীবন বাঁচানোর বদলে বাংলাদেশ সরকার তাদের বিপদে ফেলে দিয়েছে।’
    যদিও অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে গত শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপে নারী-পুরুষ, শিশুসহ ১৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই দলটির মধ্যে ৮১০ শিশু, ৩৬৮ পুরুষ ও ৪৬৪ জন নারী রয়েছে। তবে প্রায় দুই দশক আগে জেগে ওঠা এই দ্বীপে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের কার্যক্রম ভাসানচর পরিদর্শন করে ২২টি এনজিওর প্রতিনিধি দল।

    ভারতীয় গণমাধ্যমটি নেতিবাচক রিপোর্ট করলেও ভাসানচরে থাকার জন্য মানসম্মত নতুন পাকা ঘর এবং বসবাসের মতো স্বাস্থ্যসম্মত এলাকা পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন রোহিঙ্গারা।
    কুতুপালং ১৭ নম্বর ক্যাম্প থেকে আসা আরোপা বেগম বলেন, জাগা দেকি, বাসা দেকি ভালা লাগসে। ওহানে পাহাড়, বাচ্চাকাচ্চা খেলাইতো পারে না। গরু চরতে পারে না। এখানে তো সব সমান। ভালো লাগসে।
    লালু বেগম নামে আরেকজন বলেন, ওহানে তো দুযোখো ছিলাম। এহানে জাগা বড়, সমান। এখানে নিরাপত্তা আছে। পানি আছে, বাথরুম আছে। আমাদের কষ্ট করতে হবে না।

    উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করতে ২০১৭ সাল থেকেই দ্বীপটিতে এই আশ্রয়ণ প্রকল্প হাতে নেয় বাংলাদেশ সরকার। এর আওতায় সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ৬:১৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২০

    shikkhasangbad24.com |

    advertisement

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    advertisement
    শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
     
    ১০
    ১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
    ১৮১৯২০২১২২২৩২৪
    ২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
    advertisement

    সম্পাদক ও প্রকাশক : জাকির হোসেন রিয়াজ

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি# ১, রোড# ৫, সেক্টর# ৬, উত্তরা, ঢাকা

    ©- 2023 shikkhasangbad24.com all right reserved