অনলাইন ডেস্ক | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১:৩৯ অপরাহ্ণ
পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১৪ কিলোমিটার নদী প্রশিক্ষণকাজের ব্যবস্থা রয়েছে। তারপরও এখনো কেন এত ব্যাপক ও তীব্র ভাঙন চলছে?
পদ্মায় পানি বেড়েছে। এ কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণের মুন্সিগঞ্জের মাওয়ার কুমারভোগ সেতু নির্মাণ প্রাঙ্গণের একটি অংশ ভাঙনের কবলে পড়ে। গত ৪ আগস্ট দুপুর
পদ্মা সেতুর বাঁ দিকের তীরের ল্যান্ডিং পয়েন্ট থেকে আনুমানিক ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার ভাটিতে এবং শিমুলিয়া ফেরিঘাটের অব্যবহিত উজানে কুমারভোগ এলাকায় সেতু নির্মাণ প্রাঙ্গণের একটি অংশ পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। গত ৫ আগস্ট ডেইলি স্টার-এ এ নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩১ জুলাই বেলা ২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে অংশটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। খবরটি আমাকে গভীরভাবে বিচলিত করেছে।
মনে পড়ে পদ্মার স্রোতোধারা, ফেরি পথ, নিচু চররাশি, যথেষ্ট পরিপক্ব ও উঁচু বিশাল চররাশি। আরও আছে তীর সংলগ্ন স্থানে বালি, পাথরের উঁচু স্তূপ, রাশি রাশি ব্লক। নদীর দুই কুলে বিশাল প্রান্তর জুড়ে পদ্মাসেতুর নির্মাণ প্রাঙ্গণ ও নির্মাণের মহা কর্মযজ্ঞ। পদ্মার গতিপ্রকৃতি এবং সেতু নির্মাণের মহা কর্মযজ্ঞের তীব্র ভাঙনের সংবাদটি কিছু বিষয় সামনে নিয়ে আসে।
কুমারভোগ এলাকার এই ভাঙনই শেষ ভাঙন নয়। ছয় দিন পর ৬ আগস্ট এর ভাটিতে শিমুলিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ৪ নম্বর ফেরিঘাট ব্যাপক ভাঙনের শিকার হয়। ভাঙনের তীব্রতায় ওই ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভাঙনের ঘটনা আগেও ঘটেছে।
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরের প্রথমার্ধে মাওয়া বাসস্ট্যান্ড, ফেরিঘাট অঞ্চল এবং এর উজান-ভাটির কিছু এলাকাসহ বৃহৎ জায়গা ব্যাপকভাবে ভাঙনের কবলে পড়ে। সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। বহুদিন ধরে বহু মানুষ ভাঙন দেখতে যেত। ভাঙনের আকস্মিকতা ও তীব্রতা এমনই ছিল যে জীবন্ত খাঁড়া গাছ প্রায় সোজা দেবে গিয়ে নদীতে ডুবে যায়। এলাকার মানুষের মতে, দক্ষিণ মেদিনীমণ্ডল ও এর উজান-ভাটির এলাকায় ভাঙন এতটাই বিস্তৃত ছিল যে অধিগ্রহণ করা ভূমির প্রায় পুরোটাই নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
২০১৩ সালের আগেও মাওয়া বাসস্ট্যান্ডের উজানের এলাকা—কান্দিপাড়া, দক্ষিণ মেদিনীমণ্ডল, কবুতরখোলা এলাকা ভাঙনে পড়ে। যত দূর মনে পড়ে এমন তীব্র ভাঙনের পর ২০১২ সালে ফেরি কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে এক কিলোমিটার ভাটিতে মাওয়া রাস্তার প্রান্তে ফেরিঘাট বসায়। ব্লক দিয়ে প্রতিরোধের একাধিক নিষ্ফল চেষ্টাও চলে।
কুমারভোগের উল্লিখিত নির্মাণ প্রাঙ্গণের একটি অংশ নদীতে ভেঙে পড়ে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে। অতীতে মাওয়া ঘাট থেকে ফেরি, লঞ্চ ইত্যাদি সব নৌযান প্রায় সোজাসুজি চরজানাজাত ঘাটে চলাচল করত। চরের মধ্যকার চ্যানেল দিয়ে সম্ভবত ২০১৩ সালের পরে বর্ষা মৌসুমের কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এই চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। পরে শিমুলিয়া বরাবর নদী পার হয়ে চরের মধ্য দিয়ে যাওয়া রুটটি ধরে নৌযানগুলো চরজানাজাত পর্যন্ত চলাচল করত। রুটটি নিয়মিত ও বারবার খননের মাধ্যমে ফেরি চলাচলের জন্য কোনোভাবে নাব্যতা রাখা হয়। ফেরি পরে চরজানাজাত থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার ভাটিতে কাঁঠালবাড়িতে সরিয়ে নেওয়া হয়। এই ফেরি রুটের চরজানাজাতের উজানে একেবারে মাথার অংশের সঙ্গে যোগাযোগ বহু আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১:৩৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
shikkhasangbad24.com | hossain reaz
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |