• শুক্রবার ২৪শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১০ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

    শিরোনাম

    জানুয়ারি থেকে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হতে পারে কানাডায়

    অনলাইন ডেস্ক | ২০ নভেম্বর ২০২০ | ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ

    জানুয়ারি থেকে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হতে পারে কানাডায়

    ফাইজার এবং মডার্নার ভ্যাকসিনের সফলতার খবরে বদলে যেতে শুরু করেছে কানাডার গণমাধ্যমের শিরোনামগুলো। বদলে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ শীর্ষ কর্তাদের ব্রিফিংয়ের বিষয়বস্তু। করোনায় আক্রান্ত বা মৃতের সংখ্যার চেয়ে কথা বেশি হচ্ছে, কবে থেকে টিকা দেওয়া শুরু হবে, কারা আগে পাবে কিংবা বিতরণের কৌশল নিয়ে।

    সরাসরি না বললেও ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির শুরু থেকে টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। যেমন মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, ‘সুরঙ্গের শেষেই আলো দেখতে পাচ্ছি আমরা। করোনা পরিস্থিতি বদলে যাবে শিগগিরই। এটা সত্যি যে চলতি শীতকালটা আমাদের বেশ ভোগাবে। তবে বসন্ত থেকে আসছে ভালো দিন।’

    এদিকে টিকার সুষ্ঠু সরবরাহ ও বন্টন নিয়ে জোরেসোরে কাজ শুরু করেছে ফেডারেল সরকার। সংশ্লিষ্ট ‘ইনটেরিয়র হেলথ’ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি টিকা ব্যবস্থাপনা নিয়ে অটোয়ার প্রশাসনিক দপ্তরগুলোর ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে জাতীয় টাস্কফোর্স। প্রাদেশিক সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং হাসপাতালগুলোর সঙ্গে চলছে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। যদিও প্রথম চালানে কোন প্রদেশ কত টিকা পাবে, কিসের ভিত্তিতে টিকা বিতরণ করা হবে এই নিয়ে মতভেদও আছে ফেডারেল ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে। তবে তাকে ‘অসহিষ্ণু’ বলা যাবে না।

    এদিকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে সামরিক বাহিনী। সোমবার হাউজ অব কমন্সে ন্যাশনাল ডিফেন্স কমিটির সভায় শীর্ষ সামরিক কর্তা মেজর জেনারেল ট্রেভর ক্যাডিও জানিয়েছেন, জনসাস্থ্য সংস্থাগুলোর নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। সারা দেশে টিকা পৌঁছে দিতে তাদের বাহিনী প্রস্তুত। টিকার জন্য যে ন্যাশনাল অপারেশন সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনায়ও ফেডারেল সরকারের পাশে তারা থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন ট্রেভর ক্যাডিও।

    এদিকে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, ফাইজার এবং মডার্নাসহ প্রথমসারির ৭ উৎপাদকের সঙ্গে মোট ৪১ কোটি ৪০ লাখ ভ্যাকসিনের জন্য চুক্তি আগেভাগেই সেরে রেখেছে কানাডা সরকার। এই হিসেবে কানাডার প্রতি নাগরিকের জন্য বরাদ্দ থাকবে ১০টিরও বেশি টিকা। যদিও জনপ্রতি সর্বোাচ্চ ২টি টিকার বেশি প্রয়োজন পড়বে না। তবে এই সাত প্রতিষ্ঠানের কোনো কোনো টিকা শেষ পর্যন্ত সফল নাও হতে পারে এমন ধারণা থেকেই বাড়তি সাবধানতা হিসেবে এত বেশি সংখ্যক টিকার ফরমায়েশ দিয়ে রেখেছে সরকার।

    টিকার সুখবরে অবশ্য খুব বেশি দুশ্চিন্তা কমেনি কানাডাবাসীর। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসে প্রতিদিন সর্বোচ্চ করোনা রোগী দেখছে কানাডা। মঙ্গলবার এই সংখ্যা ৩ লাখ অতিক্রম করে। বৃহস্পতিবার সব মিলে ৩ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১১ হাজার। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি গিয়ে গর সংখ্যা অনেক বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলো। তাই টিকা বিতরণ শুরুর আগে আরেক দফা লকডাউনের অভিজ্ঞতা পেতে হবে,

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০২০

    shikkhasangbad24.com |

    advertisement

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    advertisement
    শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
     
    ১০
    ১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
    ১৮১৯২০২১২২২৩২৪
    ২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
    advertisement

    সম্পাদক ও প্রকাশক : জাকির হোসেন রিয়াজ

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি# ১, রোড# ৫, সেক্টর# ৬, উত্তরা, ঢাকা

    ©- 2023 shikkhasangbad24.com all right reserved