• বুধবার ২২শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ৮ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

    শিরোনাম

    জানুয়ারিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু

    অনলাইন ডেস্ক | ১০ নভেম্বর ২০২০ | ১২:২৫ পূর্বাহ্ণ

    জানুয়ারিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু

    করোনাভাইরাসের কারণে পিছিয়ে যাওয়া মেডিকেল কলেজের পরীক্ষা আগামী বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
    আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে অধ্যাপক ডাঃ একেএম আহসান হাবিব পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের সব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও বিএমডিসি’র প্রতিনিধির সমন্বয়ে একাধিক সভার মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এতে সকলের সম্মতিক্রমে আগামী ২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ হতে নিয়মিত/অনিয়মিত ব্যাচের প্রফেশনাল পরীক্ষাসমূহ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের গাইড লাইন ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য প্রফেশনাল পরীক্ষাগুলো নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যে অনিয়মিত ব্যাচের চূড়ান্ত প্রফেশনাল পরীক্ষা চলমান আছে। পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময়ের এক মাস পূর্বে শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে হোস্টেলে অবস্থানের অনুমতি প্রদান করা হয় এবং অন্য কোন শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করতে পারবে না। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সকলকে কোনো প্রকারের আন্দোলনে অংশ না নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর চিকিৎসা শিক্ষার গুণগত মান অক্ষুণ্ন রেখে শিক্ষার্থীদের সেশনজট দূর করতে বদ্ধপরিকর।

    করোনা মহামারীতে দেশের অর্থনীতি সেক্টর থেকে শুরু করে শিক্ষা ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাই স্কুল ও কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অটোপাস করে দেয় সরকার। অন্যদিকে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে আন্দোলন করেন। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থা ভিন্নধর্মী হওয়ায় বিদ্যমান বিধিতে পরীক্ষা ব্যতিত অন্য কোনোভাবে একজন শিক্ষার্থীকে পরবর্তী ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার ও সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে বর্তমানে ৩৬টি সরকারি ও ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থার চেয়ে মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় ভিন্নতা রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের তাত্ত্বিক পাঠদানের সাথে প্রতিক্ষেত্রে ব্যবহারিক শিক্ষার আবশ্যিকতা রয়েছে। চিকিৎসা শিক্ষার এমবিবিএস/বিডিএস শিক্ষার্থীদের বছরে মে ও নভেম্বর/ফেব্রুয়ারি ও আগস্ট এ দুটি টার্ম এ প্রফেশনাল পরীক্ষা হয়ে থাকে। একজন ছাত্রকে চিকিৎসক হওয়ার পূর্বে ৪টি প্রফেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
    বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থার মত চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় হওয়ার প্রেক্ষিতে এবং চিকিৎসা শিক্ষার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে সেশন জট থেকে মুক্ত রাখতে পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নাই।

    প্রসঙ্গত, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের চার দাবিগুলো হচ্ছে- করোনা মহামারিতে পরীক্ষা নয়, অনতিবিলম্বে সেশনজট দূর করতে পরবর্তী ধাপের অনলাইন ক্লাস শুরু করতে হবে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে নির্ধারিত ৬০ মাস, এবং বিডিএস কোর্সে ৪৮ মাসের (পুরাতনদের ৬০ মাস) বেশি বেতন ফি আদায় করা যাবে না এবং পরীক্ষা ও ক্লাস-সংক্রান্ত সব আদেশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করতে হবে।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১২:২৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০

    shikkhasangbad24.com |

    advertisement

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    advertisement
    শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
     
    ১০
    ১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
    ১৮১৯২০২১২২২৩২৪
    ২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
    advertisement

    সম্পাদক ও প্রকাশক : জাকির হোসেন রিয়াজ

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি# ১, রোড# ৫, সেক্টর# ৬, উত্তরা, ঢাকা

    ©- 2023 shikkhasangbad24.com all right reserved