• শুক্রবার ২৪শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১০ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

    শিরোনাম

    চোরদের কাছে বিকাশে টাকা পাঠিয়ে আনতে হচ্ছে বিদ্যুতের মিটার!

    অনলাইন ডেস্ক | ০৫ ডিসেম্বর ২০২০ | ৭:৪৭ অপরাহ্ণ

    চোরদের কাছে বিকাশে টাকা পাঠিয়ে আনতে হচ্ছে বিদ্যুতের মিটার!

    নওগাঁর রাণীনগরে আশঙ্কাজনক হারে অভিনব কায়দায় বিদ্যুতের মিটার চুরির হিড়িক পড়েছে। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সুবিধাভুগীরা। মিটার চুরি করে সেখানে রেখে যাওয়া চিরকুটে লিখা বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে টাকা নিয়ে মিটার পুনরায় ফেরত দিচ্ছে এক শ্রেণির চোরের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে আতঙ্কে রয়েছেন উপজেলার সুবিধাভোগীরা। সচেতনমহল মনে করছের আইন-শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতির কারণেই দিন দিন এই মিটার চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে।

    উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫টি বিদ্যুতের মিটার চুরি হয়েছে।আর প্রতিটি মিটার চুরির পর ঘটনাস্থলে বিকাশ নম্বর লিখা কাগজের একটি চিরকুট রাখা হয়। পরে ওই বিকাশ নম্বরে যোগাযোগ করে চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা তিন থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে আবার ওই মিটার ফেরত দিচ্ছে। চুরি যাওয়া প্রতিটি মিটারের দাম ১৪ থেকে ১৮হাজার টাকা।

    বিশেষ করে তিন ফেজের শিল্প/সেচের মিটারগুলো বেশি চুরি হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখ মধ্যরাতে উপজেলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সাংসদ আলহাজ আনোয়ার হোসেন হেলালের অফিস থেকে ও একই রাতে মণ্ডলের ব্রিজ সংলগ্ন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের উপ-কেন্দ্রের মিটারসহ চারটি মিটার চুরি হয়। মিটার চুরির পর প্রতিটি স্থানে কাগজের চিরকুটে একটি মোবাইল নম্বর রেখে যায় চোরেরা।

    এরপর গেলো দুই নভেম্বর সাংসদ আনোয়ার হোসেন হেলালের অফিস থেকে চুরি যাওয়া মিটারের স্থানে নতুন লাগানো মিটার আবার চুরি হয়ে যায়। এতে করে উপজেলার প্রতিটি এলাকার মানুষদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। কখন যে কার মিটার চুরি হয়ে যায় এই আতঙ্কে রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা।

    উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) সাইদী সবুজ খান বলেন একই রাতে চারটি মিটার চুরির পর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের কোনও জোরালো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে চিরকুটে লিখা বিকাশ নম্বর ট্যাকিং করে কিন্তু পুলিশ ওই সিন্ডিকেটের চোরদের খুঁজে বের করতে পারেন। কিন্তু পুলিশ বাহিনী কেন এমন জন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না তা আমার জানার বাইরে।

    রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল হক বলেন, আমার কাছে মিটার চুরির বিষয়ে কোন ভুক্তভোগী লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেনি। এমন ঘটনায় যদি কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও এই বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে গ্রাহকদের সচেতন করতে হবে। শুধু গ্রাহক নয় সবাইকে সচেতন হতে হবে। তাছাড়া প্রতিটি মিটারের কাছে একজন করে পুলিশ রেখে মিটার পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়।

    যদি দ্রুত এই চুরির বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় তাহলে সরকার যেমন একদিকে লোকসানে পড়ছে অপরদিকে গ্রাহকেরা আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি হয়রানির শিকার হচ্ছে। তাই এই বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সরকারকে।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ৭:৪৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২০

    shikkhasangbad24.com |

    advertisement

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    advertisement
    শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
     
    ১০
    ১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
    ১৮১৯২০২১২২২৩২৪
    ২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
    advertisement

    সম্পাদক ও প্রকাশক : জাকির হোসেন রিয়াজ

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি# ১, রোড# ৫, সেক্টর# ৬, উত্তরা, ঢাকা

    ©- 2023 shikkhasangbad24.com all right reserved