• শনিবার ২৫শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১১ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

    শিরোনাম

    চীনের নেতৃত্বে বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হচ্ছে আজ

    অনলাইন ডেস্ক | ১৫ নভেম্বর ২০২০ | ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ

    চীনের নেতৃত্বে বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হচ্ছে আজ

    দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের চলতি শীর্ষ বৈঠকের শেষ দিনে সিঙ্গাপুরে আজ রবিবার বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই হতে যাচ্ছে। চুক্তিটি বিশ্ব বাণিজ্যে মৌলিক ও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আসিয়ান জোটের ১০টি দেশ ছাড়াও এই চুক্তিতে সই করছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। চুক্তিটিতে ভারতের যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও গত বছর তারা আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসে।

    রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) নামে নতুন এই জোটের অর্থনীতির আয়তন বিশ্বের মোট জিডিপির ৩০ শতাংশ। ফলে এই চুক্তি বিশ্বের সবচেয়ে বড় অবাধ বাণিজ্য এলাকা তৈরি করবে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর মধ্যে যে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল রয়েছে সেটি বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়েও এশিয়ার নতুন এই বাণিজ্য অঞ্চলটির পরিধি বড় হবে।

    ব্যবসাবিষয়ক পরামর্শক সংস্থা আইএইচএস মারকিটের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ রাজিব বিশ্বাসকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, এই অঞ্চলে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের উদারীকরণে চুক্তিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। কারণ, তাঁর মতে আরসিইপি বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অঞ্চলে পরিণত হবে।

    জানা যায়, ২০১২ সালে প্রথম এই চুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছিল। তারপর আট বছর ধরে চীনের প্রবল উৎসাহ ও উদ্যোগে এটি বাস্তবে রূপান্তরিত হচ্ছে। মুক্ত বাণিজ্যের এই চুক্তিকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব বিস্তারের পথে একটি অভ্যুত্থান হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে তাদের এক মন্তব্য প্রতিবেদনে লিখেছে থাইল্যান্ডের অন্যতম শীর্ষ দৈনিক ব্যাংকক পোস্ট। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাণিজ্যের অধ্যাপক আলেকজান্ডার ক্যাপ্রিকে উদ্ধৃত করে ব্যাংকক পোস্ট বলেছে, এই জোট চীনকে তাদের ভূ-রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ বাস্তবায়নে নিশ্চিতভাবে সাহায্য করবে।

    প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালে মুক্ত বাণিজ্য থেকে আমেরিকা যেভাবে পিছিয়েছে, সেই শূন্যতা দখল করছে চীন। ২০১৬ সালে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১০টি দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র মিলে টিপিপি নামে যে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি করেছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটি থেকে আমেরিকাকে বের করে নিয়ে যান। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, নতুন চুক্তিটি হলে ভবিষ্যতে এশিয়ায় বাণিজ্যের নীতি এবং শর্ত নিয়ন্ত্রণ করবে চীন।

    গবেষণা সংস্থা কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের ইভান ফেইগেনবমকে উদ্ধৃত করে ওয়াশিংটনের গবেষণাভিত্তিক সাময়িকী দ্য ডিপ্লোম্যাট লিখেছে, এশিয়ায় প্রধান দুই বাণিজ্য চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র নেই, ফলে এশিয়ায় বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের শর্ত ও মান নির্ধারণের ক্ষমতার হাতবদল হবে এবং কয়েক প্রজন্ম ধরে সে মতোই ওই অঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলবে।

    দ্য ডিপ্লোম্যাটের সাবেক সম্পাদক অঙ্কিত পাণ্ডা টুইট করেছেন, আরসিইপি চুক্তি যে হচ্ছে তাতে ইঙ্গিত খুব স্পষ্ট যে এশিয়ায় বড় ঘটনা ঘটছে এবং যুক্তরাষ্ট্র তাতে শামিল হোক বা না হোক আরো এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

    জাপান-অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও চীনা আধিপত্য নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। তার পরও আরইসিপিতে যোগ দিতে তারা এখন আর পিছপা তো হচ্ছেই না বরং সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে এ নিয়ে উৎসাহ বাড়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট। মালয়েশিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী মোহামেদ আজমিন আলী বলেছেন, ‘আট বছর ধরে রক্ত, ঘাম আর চোখের জল ঝরিয়ে আজ রবিবার আরসিইপি সইয়ের জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত প্রস্তুত হয়েছি।’

    অনেক বিশ্লেষক বলছেন, করোনা সংক্রমণের পরিণতিতে আসিয়ান জোটের দেশগুলো যে চরম অর্থনৈতিক চাপে পড়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এই চুক্তিতে সই করার ব্যাপারে তাদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

    সূত্র : বিবিসি বাংলা।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০

    shikkhasangbad24.com |

    advertisement

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    advertisement
    শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
     
    ১০
    ১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
    ১৮১৯২০২১২২২৩২৪
    ২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
    advertisement

    সম্পাদক ও প্রকাশক : জাকির হোসেন রিয়াজ

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি# ১, রোড# ৫, সেক্টর# ৬, উত্তরা, ঢাকা

    ©- 2023 shikkhasangbad24.com all right reserved