• সোমবার ২৭শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১৩ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

    শিরোনাম

    গোল্ডেন মনিরের বন্ধুরা প্রভাবশালী

    অনলাইন ডেস্ক | ২৭ নভেম্বর ২০২০ | ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ

    গোল্ডেন মনিরের বন্ধুরা প্রভাবশালী

    অস্ত্র, মাদক ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকারসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে রিমান্ডে প্রথমে সোনা চোরাচালান করে অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তিনি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে সম্পদ বাড়িয়েছেন বলে দাবি করছেন। ব্যাবসায়িক কারণে তাঁর অনেক প্রভাবশালী বন্ধু হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসাও করছেন তিনি। প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ কারবার করার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে রিমান্ডে চুপ থাকছেন তিনি। এদিকে গতকাল মনির ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    সূত্র জানায়, মনিরের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও সোনা উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত চলছে। পাশাপাশি বিদেশে অর্থপাচারের ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। এদিকে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করতে মনিরের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। র‌্যাব-পুলিশের (ডিবি) পক্ষ থেকে তথ্য পেলেই আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরু করা হবে।

    গোল্ডেন মনিরের মেরুল বাড্ডার বাসায় অভিযান চালিয়ে এক কোটি ৯ লাখ টাকা, চার লিটার মদ, আট কেজি সোনা, একটি বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র‌্যাব। এ ঘটনায় গত রবিবার সকালে মনিরকে থানায় হস্তান্তর করার পাশাপাশি মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে র‌্যাব। পরে পুলিশ তাঁকে আদালতে হাজির করে প্রতিটি মামলায় সাত দিন করে রিমান্ড চায়। মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে সেই মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।

    ডিবির একাধিক সূত্র জানায়, রিমান্ডে র‌্যাবের করা মামলার ব্যাপারে মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অতীতে মনিরের সোনা চোরাচালানসহ অপকর্মের অনেক তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এসব ব্যাপারে মনিরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি অতীতে সোনা চোরাকারবারিদের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা মেনে নিয়েছেন। তবে পরে তিনি গাড়ি, ঠিকাদারি, পণ্য সরবরাহ ও ভূমির ব্যবসা করেন বলে দাবি করেন। অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে দাবি মনিরের। এর মধ্যে একটি বড় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার কথা বলছেন তিনি। তাঁর বৈধ ব্যবসার ব্যাপারেও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদে অস্ত্র, মাদক ও সোনা চোরাচালানের ব্যাপারে মুখ খুলছেন না তিনি। ব্যাংকে তাঁর প্রায় হাজার কোটি টাকার লেনদেন এবং অর্থপাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন ডিবির কর্মকর্তারা।

    এদিকে র‌্যাবের প্রাথমিক তদন্তে মনিরের বিরুদ্ধে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তা বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অর্থপাচারের ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করেনি সিআইডি।

    জানতে চাইলে সিআইডির এএসপি জিসানুল হক বলেন, ‘এ রকম ঘটনা ঘটলে নিয়মানুযায়ী আমরাই অনুসন্ধান করে মানি লন্ডারিং মামলা করব। আমরা তদন্তকারীদের কাছ থেকে একটি চিঠি পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।’

    সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদকের নোটিশ : এদিকে গোল্ডেন মনির ও তাঁর স্ত্রী রওশন আক্তারের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    দুদক পরিচালক আকতার হোসেন আজাদের সই করা নোটিশটি গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো হয়। দুদক থেকে পাঠানো ওই নোটিশে মনির ও তাঁর স্ত্রীকে আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদের হিসাব জমা দিতে বলা হয়েছে। সম্পদজারির নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।

    নোটিশে বলা হয়, গোল্ডেন মনির এবং তাঁর স্ত্রী রওশন আক্তারের নিজের এবং তাঁদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী এই আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হলো। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০

    shikkhasangbad24.com |

    advertisement

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    advertisement
    শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
     
    ১০
    ১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
    ১৮১৯২০২১২২২৩২৪
    ২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
    advertisement

    সম্পাদক ও প্রকাশক : জাকির হোসেন রিয়াজ

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি# ১, রোড# ৫, সেক্টর# ৬, উত্তরা, ঢাকা

    ©- 2023 shikkhasangbad24.com all right reserved