• শনিবার ২৫শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১১ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

    শিরোনাম

    কাজের কথা বলে এনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

    অনলাইন ডেস্ক | ১০ নভেম্বর ২০২০ | ১২:৩৬ পূর্বাহ্ণ

    কাজের কথা বলে এনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

    বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওরা ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামে রোববার সন্ধ্যায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

    সোমবার (৯ নভেম্বর) এ ঘটনায় মামলার পর ধর্ষক রুবেল (২৮) এবং তার সহযোগী রাশিদা বেগমসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

    কাউনিয়া গ্রামের ওই স্কুলছাত্রীকে রোববার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কাজের কথা বলে একই বাড়ির হানিফ রাঢ়ীর স্ত্রী রাশিদা বেগম তার ঘরে ডেকে নেয়। পূর্ব থেকেই ওই ঘরে বসা ছিল রাশিদা বেগমের আত্মীয় আমতলীর বৈঠাকাটা গ্রামের সেরাজ খলিফার ছেলে রুবেল খলিফা।

    মেয়েটি ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই রুবেল কাপড় দিয়ে মুখ চেপে ধরে দোতালায় নিয়ে ধর্ষণ করে। রাশিদা বেগম এসময় ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে বাহিরে পাহারায় ছিল। ধর্ষণ শেষে মেয়েটিকে রাত ৮টার দিকে ছেড়ে দিলে ঘরে ফিরে সে ধর্ষণের কথা তার বাবা মা এবং দাদাকে জানায়।

    রাত ১০টার দিকে দাদা ধর্ষণের এ ঘটনা আমতলী থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মেয়েটির দাদা রোববার রাত ১২টার দিকে বাদী হয়ে রুবেল এবং তার সহযোগীতাকারী রাশিদা বেগমকে আসামি করে আমতলী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পুলিশ সোমবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৪টার দিকে বৈঠাকাটা নিজ বাড়ি থেকে রুবেল এবং কাউনিয়া গ্রাম থেকে রাশিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। সকালে তাদেরকে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে। আদালতে রুবেল এবং রাশিদা বেগম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বলে জানান মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম।

    পরে তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক মো. সাকিব হোসেন।

    সোমবার সকালে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। আদালতে মেয়েটির ২২ ধারায় জবানবন্দি শেষে বিকেলে দাদার জিম্মায় দেয়া হয়।

    ধর্ষণের শিকার মেয়েটির দাদা বলেন, রাশিদা এবং রুবেল খুব খারাপ লোক। রাশিদার সহযোগিতায় রুবেল আমার নাতিকে ঘরের দোতালায় উডাইয়া মুখে কাপড় ঢুকাইয়া জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। আমি ওগো ফাঁসি চাই।

    স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রাশিদা খারাপ প্রকৃতির মানুষ। সে পতিতার ব্যবসা করে। বিভিন্ন উঠতি বয়সী মেয়েদের নিজ ঘড়ে ডেকে এনে ভয় দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে যৌন কাজে লিপ্ত করতে বাধ্য করে।

    আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ধর্ষিতার দাদা বাদী হয়ে রোববার রাত ১২টার দিকে রুবেল এবং রাশিদা বেগমের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। আসামিদের গ্রেপ্তার করে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের বিচারক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০

    shikkhasangbad24.com |

    advertisement

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    advertisement
    শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
     
    ১০
    ১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
    ১৮১৯২০২১২২২৩২৪
    ২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
    advertisement

    সম্পাদক ও প্রকাশক : জাকির হোসেন রিয়াজ

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি# ১, রোড# ৫, সেক্টর# ৬, উত্তরা, ঢাকা

    ©- 2023 shikkhasangbad24.com all right reserved