• শুক্রবার ২৪শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১০ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

    শিরোনাম

    করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এলেও লকডাউন নয়

    অনলাইন ডেস্ক | ০৩ নভেম্বর ২০২০ | ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

    করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এলেও লকডাউন নয়

    মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এলেও ফের লকডাউনের মতো বিধি-নিষেধের চিন্তা আপাতত সরকারের নেই। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তগুলো জানান।

    গতকালের বৈঠকে ২০২১ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন পেয়েছে। আসছে বছরে বাংলাদেশে ১৪ দিন সাধারণ ছুটি এবং নির্বাহী আদেশে আট দিন সরকারি ছুটি মিলিয়ে মোট ২২ দিন ছুটি থাকবে। এর মধ্যে সাত দিনের ছুটি শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পড়েছে। সে হিসাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রকৃত ছুটি উপভোগ করতে পারবেন ১৫ দিন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অবস্থা খুবই খারাপ। বেশির ভাগ দেশ লকডাউনে যাচ্ছে। ফ্রান্স লকডাউন দিয়েছে। অনুমতি ছাড়া বাসা থেকে বের হতে পারবে না। এগুলো বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন যে আমরা যেভাবে আছি, সেটা মোটামুটি স্বস্তির। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট থাকার সুযোগ নেই। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

    ২০২১ সালের সরকারি ছুটি : সরকারি ছুটির মধ্যে রয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ১ মে আন্তর্জাতিক মে দিবস, ৭ মে জুমাতুল বিদা, ১৪ মে ঈদুল ফিতর, ২৬ মে বুদ্ধপূর্ণিমা, ২১ জুলাই ঈদুল আজহা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৩০ আগস্ট জন্মাষ্টমী, ১৫ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৯ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)।

    নির্বাহী আদেশে ছুটির মধ্যে রয়েছে ২৯ মার্চ শবেবরাত, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ১০ মে শবেকদর, ১৩ ও ১৫ মে ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের দিন, ২২ ও ২৪ জুলাই ঈদুল আজহার আগে ও পরের দিন এবং ১৯ আগস্ট আশুরা। ঐচ্ছিক ছুটির মুসলিম পর্বে আছে ১২ মার্চ শবেমেরাজ, ১৬ মে ঈদুল ফিতর (ঈদের পরের দ্বিতীয় দিন), ২৩ জুলাই ঈদুল আজহা (ঈদের পরের দ্বিতীয় দিন), ৬ অক্টোবর আখেরি চাহার সোম্বা এবং ১৭ নভেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। হিন্দু পর্বে আছে ১৬ ফেব্রুয়ারি সরস্বতীপূজা, ১১ মার্চ শিবরাত্রি ব্রত, ২৮ মার্চ দোলযাত্রা, ৯ এপ্রিল হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ৬ অক্টোবর মহালয়া, ১৪ অক্টোবর দুর্গাপূজা (নবমী), ২০ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ৪ নভেম্বর শ্যামাপূজা। ঐচ্ছিক ছুটির খ্রিস্টান পর্বে আছে ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ১৭ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার, ১ এপ্রিল পুণ্য বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল পুণ্য শুক্রবার, ৩ এপ্রিল পুণ্য শনিবার, ৪ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশুখ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন)। বৌদ্ধ পর্বে আছে ২৮ জানুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি, ২৩ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা, ২০ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা (ভাদ্র পূর্ণিমা) এবং ২০ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)।

    এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অনুরূপ সামাজিক উৎসব। একজন কর্মচারী তাঁর নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে সর্বোচ্চ তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারেন। তবে এই ছুটি উপভোগ করতে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করা যায়। যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়; যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করেছে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এই ছুটি ঘোষণা করবে।

    গতকালের মন্ত্রিসভা বৈঠকে বৈশ্বিক মহামারির বিপর্যয় থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন-অগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়। সেই সঙ্গে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০১৯-২০ অর্থবছরের কার্যাবলি সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ‘গান্ধী আশ্রম (ট্রাস্ট বোর্ড) আইন, ২০২০’ ও ‘উন্নয়ন বোর্ড আইনসমূহ (বিলুপ্তকরণ) আইন, ২০২০’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ নভেম্বর ২০২০

    shikkhasangbad24.com |

    advertisement

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    advertisement
    শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
     
    ১০
    ১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
    ১৮১৯২০২১২২২৩২৪
    ২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
    advertisement

    সম্পাদক ও প্রকাশক : জাকির হোসেন রিয়াজ

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি# ১, রোড# ৫, সেক্টর# ৬, উত্তরা, ঢাকা

    ©- 2023 shikkhasangbad24.com all right reserved