অনলাইন ডেস্ক | ০৩ অক্টোবর ২০২০ | ৯:০৩ অপরাহ্ণ
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য জেলে পল্লী গুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। নতুন ট্রলার তৈরি এবং পুরাতন ট্রলার মেরামত,জাল বুনা ও জাল শুকানোর ধুম পড়ে গেছে।
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার জেলে পল্লীর নারী-পুরুষ ও শ্রমিকরা সুন্দরবনের দুবলার চরে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র গোছাতে কর্মব্যস্ত দিন কাটাচ্ছে। সুন্দরবন ও সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতির মধ্য বিরাজ করছে তাদের সারা বছরের জীবিকা অর্জনের খুঁশির আমেজ।
উপজেলার তালা সদর, গোনালী, হরিচন্দ্রকাটি, গোপালপুর, জালালপুর, জেঠুয়া, ইসলাকাটি,বাউখোলা সহ বিভিন্ন গ্রামের জেলে পল্লী থেকে প্রায় ২০০টি ট্রলার সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। নতুন ট্রলার তৈরি, পুরাতন ট্রলার গুলো সংস্কার, জালবুনা, লোহার নোঙ্গর/গ্রাফি, ট্রলারের রং করা, গাবকুটে তার রস জালে লাগানো সহ সমুদ্রে যাওয়ার কর্ম ব্যস্ত সময় পার করছে জেলে পল্লীর নারী পুরুষরা।
উপজেলার তালা মালোপাড়ার কপোতাক্ষের তীরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কপোতাক্ষ নদের তীরে দুই পাশে ট্রলার তৈরী ও মেরামতের কাজ চলছে। জেলাপাড়ার নারী-পুরুষ সকলেই সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। মালো পাড়ায় ১৫টির মতো নতুন ট্রলার তৈরী করার কাজ চলছে। মিস্ত্রীরা দিন রাত ট্রলার তৈরী কাজে নিয়োজিত রয়েছে।এত গুলি ট্রলার তৈরী নিয়ে মালো পাড়ায় তৈরি হয়েছে উৎসব মূখর পরিবেশ।
জেঠুয়া মালোপাড়ার মিলন বিশ্বাস জানায়, তারা নতুন ২টি করে ট্রলার তৈরি করছে। নতুন ট্রলার তৈরী করতে সর্বমোট খরচ পড়ছে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা।
কর্মরত কাঠ মিস্ত্রীরা জানান, চম্বল,বাবলা,লিছু,ছবেদা,শাল কাঠ,মেহগনী ও খৈ কাঠ দিয়ে তারা ট্রলার তৈরি করতে হয়।অন্য কাঠ দিয়ে ট্রলার তৈরী করা যায় না।
এদিকে জেলেরা বিভিন্ন মহাজনের অধীনে থেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। মহাজনরা জেলেদের পাস পার্মিট করে রাখে।দুবলার চরে রওনা দেওয়ার আগে মংলা থেকে পাসপার্মিট নিয়ে জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। এ বছর মংলা হয়ে বলেশ্বর নদী দিয়ে দুবলার চরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেরা।
তবে জেলেরা সাগরে মাছ ধারতে ট্রলার তৈরী, ট্রলার মেরামত সহ অন্য খরচ যোগাতে এলাকার কিছু মহাজনদের কাছ থেকে মোটা অংকের সুদ দিয়ে টাকা সংগ্রহ করতে হয়। এলাকার কিছু সুদখোর মহাজন জেলেদেরকে সাগরে যাওযার খরচ বাবদ সুদে টাকা দেওয়ার জন্য ওৎ পেতে থাকে।
জেলেরা আরো জানায়, মৌসুম শেষে সাগর থেকে ফিরে এসে মহাজনের সুদের টাকা পরিশোধ করে হাতে আর বেশি টাকা থাকে না তবুও দীর্ঘ দিনের বাব-দাদার থেকে পাওয়া পেশাটি ছাড়তে পারি না।সব কিছু ঠিক থাকলে দুর্গা পূজা শেষে জেলেরা মাছ ধরার জন্য সুন্দরবনের দুবলার চরের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ৯:০৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২০
shikkhasangbad24.com | hossain reaz
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |