অনলাইন ডেস্ক | ২৯ অক্টোবর ২০২০ | ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ
বার্সার জালে তিনবার বল জড়িয়েও জিততে পারেনি জুভেন্টাস। কেননা তিনটি গোলই অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন রেফারি।
এমন হতাশার দিনে উজ্জ্বল লিওনেল মেসি। রোনাল্ডোবিহীন ইতালিয়ান জায়ান্টদের হারালেন কাতালানরা।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ-জি’তে তুরিনোয় নিজেদের মাঠে বার্সেলোনা মুখোমুখি হয় জুভেন্টাসের।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোবিহীন ছন্নছাড়া দলকে ২-০ গোলে হারালেন রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা।
এদিন একাদশে কিছু পরিবর্তন এনে মাঠে শিষ্যদের নামিয়েছিলেন কোম্যান। চোটগ্রস্ত দলের অন্যতম স্ট্রাইকার ব্রাজিলিয়ান তারকা ফিলিপ কুতিনহোকে বিশ্রাম দেয়া হয়। শেষ ম্যাচে লালকার্ড দেখায় ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকেকেও একাদশে রাখেননি কোম্যান। তার স্থলে তরুণ ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাহোকে দেখা গেছে। রাইটব্যাকের দুর্দান্ত পারফরম্যার সার্জিনো ডেস্টের বদলে নামানো হয় অভিজ্ঞ সার্জিও রবার্তোকে।
ম্যাচ শুরুর ৩ মিনিটেই লিড নিতে পারত বার্সেলোনা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া মিরালেম পিয়ানিচের শট ঠেকিয়ে দেন জুভেন্টাসের গোলকিপার সেজনি। ফিরতি বলে গ্রিজম্যানের শট বারে লেগে ফিরে আসে।
তবে এ ঘটনার ১০ মিনিট পর গোলবার আর বাঁচাতে পারেনি জুভেন্টাসকে। মেসির লম্বা করে বাড়ানো পাসকে ডি বক্সের বাইরে থেকেই শট নেন উসমানে দেম্বেলে। আর তা জুভেন্টাসের জারে জড়িয়ে যায়।
কিন্তু পরের মিনিটেই সেই গোল শোধ করে দেন মোরাতা। যদিও অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল করে দেন রেফারি। ২৯ মিনিটে ফের সফল হন মোরাতা। ফের বার্সেলোনার জালে বল জড়ান তিনি। আর সেখানেও আবার বিধিবাম। এবারও অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। গোল শোধে মরিয়া জুভেন্টাসের খেলোয়াড়রা একের পর এক আক্রমণ করে যায়। ৩৩ মিনিটে আলবার একটি শটও গোলপোস্টের পাশ ঘেঁষে বাইরে দিয়ে চলে যায়।
এভাবেই ১-০তে বিরতিতে যায় দুদল। যদিও অফসাইডের ফাঁদে না পড়লে এই স্কোরলাইন ১-২ হতে পারত।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে সেই অফসাইডের দুর্ভাগ্য পোহাতে হয় জুভিদের। এবারও ট্র্যাজিক হিরো সেই মোরাতা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটের মাথায় কোয়াদরাদোর পাস থেকে বল পেয়ে ফের বার্সার জালে বল জড়ান মোরাতা। এবার ভিএআরে (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) গোলটি বাতিল হয়। তৃতীয়বারও অফসাইডে ছিলেন জুভেন্টাস তারকা।
ম্যাচের ৬১ মিনিটের সময় মেসির নেয়া একটি শট গোলপোস্টের খুব কাছে দিয়ে চলে যায়। ৭৪ মিনিটেও গোলবঞ্চিত হয় বার্সেলোনা।
মেসির অসাধারণ পাসকে গোলে পরিণত করতে পারেননি ফ্রেঞ্চ তারকা গ্রিজম্যান।
এরই মধ্যে ম্যাচের ৮৫ মিনিটে পিয়ানিচকে ফাউল করায় দ্বিতীয় হলুদ তথা লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জুভেন্টাস ডিফেন্ডার মেরিহ ডেমিরাল।
৯০ মিনিটে বার্সার তরুণ তুর্কি আনসু ফাতিকে ফাউল করেন জুভেন্টাস মিডফিল্ডার বারনার্ডেস্কি। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
সফল স্পটকিক থেকে গোল করেন মেসি। ২-০তে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
রেফারির শেষ বাঁশিতে আর গোল শোধ করতে পারেনি জুভেন্টাস।
এই জয়ের পর দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ জির শীর্ষে উঠেছে বার্সা। আর এক জয় ও পরাজয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ২ নম্বরে থাকতে হচ্ছে জুভেন্টাসকে।
পুরো ম্যাচে ৫৯.২ শতাংশ বলদখলে ছিল মেসিদের। বিপরীতে জুভেন্টাসের দখলে ছিল ৪০.৮ শতাংশ। তবে অফসাইডকাণ্ড না ঘটলে ফল অন্যরকমও হতে পারত বলে মন্তব্য বিশ্লেষকদের।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০
shikkhasangbad24.com | hossain reaz
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |